রাজধানীর ফাইভ স্টার হোটেল খ্যাত’ হোটেল সোনারগাঁয়ে নিজস্ব হেলথ ক্লাবে হোটেলের এক শীর্ষ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে মহিলা সহকর্মী দিয়ে বডি ম্যাসেজের অভিযোগ উঠেছে। হোটেলের বিধি মতে কোন স্টাফ বা কর্মচারি হেলথ ক্লাবে গিয়ে সেবা নিতে পারেন না। হেলথ ক্লাবে সার্ভিস নেয়ার বিষয়টি শুধু মাত্রই হোটেলে আগত গেষ্টদের জন্যই সংরক্ষিত। বিষয়টি নিয়ে হোটেল কর্মকর্তা, কর্মচারিদের মধ্যে নানামূখী গুঞ্জন ও রসাত্বক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ধামাচাপা দিতে সিবিএ নেতা ও তার সমর্থক সাঙ্গপাঙ্গরা উঠেপড়ে লেগেছে। সিসি ক্যামেরায় ওই নেতার হেলথ ক্লাবে যাওয়া আসার দৃশ্য ধারন হয়ে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

হোটেলের সুনাম বজায় রাখতে ম্যানেজমেন্টের একটি অংশও ওই সিবিএ নেতার পক্ষ নিয়ে ম্যাসেজ কেলেংকারির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাঠে নেমেছে। এটি এখন হোটেলে রিতিমতো সর্ব্বোচ্চ আলোচিত বিষয়। হোটেলের একাধিক সূত্র বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে হোটেল মহাব্যবস্থাপকের বক্তব্য নিতে ফোন করলে এ প্রতিবেদককে জানানো হয়, তিনি দেশের বাইরে আছেন। হোটেল থেকে প্রেসে বা মিডিয়াতে অন্য কারোর কথা বলার নিয়ম না থাকায় সংশ্লিস্ট অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রাপ্ত সূত্রমতে, ওই সিবিএ নেতা সব সময়ে সব সরকারেই থাকেন। দল বদলের মাস্টার হিসাবে তিনি ইতমধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছেন। এখন যেমন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত, তেমনি বিএনপি আমলেও তিনি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন। বিএনপি সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ সরকার ক্ষমতায় এলে রাতারাতি তিনি আওয়ামী লীগার বনে যান। অভিযোগ আছে, এ নেতা আপাতত আওয়ামী লীগ করলেও তিনি কোন সময়ে ভুলেও জয়বাংলা কিংবা জয় বঙ্গবন্ধু বলেন না। তেমনি কোন জায়গায় ভুলেও জয়বাংলা কিংবা জয় বঙ্গবন্ধু শব্দটি লেখেন না।
জানা গেছে, স’ আদ্যক্ষরের এক মহিলা সহকর্মীকে তিনি হোটেলের অন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে হেলথ ক্লাবে নিয়ে এসেছেন। ওই মহিলাও এক সময়ে বিএনপি করতেন। সিবিএ নেতার ইচ্ছায় তিনিও আপাতত আওয়ামী লিগ করছেন। নেতাই তাকে নিয়েই নিয়মিত হেলথ ক্লাবে বসেন। অন্যান্য সহকর্মীদের রুম থেকে বের করে দিয়ে তিনি ইচ্ছামতো ওই মহিলাকে দিয়ে নিজের শরীর ম্যাসাজ করান। ম্যাসাজ করার পাশাপাশি অন্য অনৈতিক সম্পর্কও চলে। নেতা হবার সুবাদে কেউই ভয়ে কথা বলেন না। ওই মহিলার সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার অনৈতিক সম্পর্ক চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতা ধরে রাখার সিড়ি হিসাবে সিবিএ নেতা ওই মহিলাকে বিভিন্ন জায়গায় উপঢৌকন হিসাবেও পাঠান। বিষয়টি হোটেল অভ্যন্তরে ওপেন সিক্রেট। হোটেলে যারা সিবিএ রাজনীতির সাথে জড়িত তারাও তাদের নেতার এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিব্রত। আড়ালে আবডালে নেতার সমালোচনা করলেও চাকরি হারানোর ভয়ে কেউই ভয়ে কোনও কথা বলেন না। আলোচিত এ নেতার সাথে হোটেল ম্যানেজমেন্টের দহরম মহরম খুব ভাল, সিবিএ রাজনীতির সাথে জড়িত, এমন অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, নেতার এসব কর্মকান্ডে লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে আসে। নেতার আচরনে আমরা বিব্রত ও হতাশ। ক্ষুদ্ধ এসব কর্মচারিরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সিবিএ নেতা ও তার রক্ষিতা খ্যাত ওই মহিলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
হোটেল সোনারগাঁয়ের হেলথ ক্লাবে মহিলা সহকর্মী দিয়ে বডি ম্যাসেজ করান শীর্ষ সিবিএ নেতা !

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর ফাইভ স্টার হোটেল খ্যাত’ হোটেল সোনারগাঁয়ে নিজস্ব হেলথ ক্লাবে হোটেলের এক শীর্ষ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে মহিলা সহকর্মী দিয়ে বডি ম্যাসেজের অভিযোগ উঠেছে। হোটেলের বিধি মতে কোন স্টাফ বা কর্মচারি হেলথ ক্লাবে গিয়ে সেবা নিতে পারেন না। হেলথ ক্লাবে সার্ভিস নেয়ার বিষয়টি শুধু মাত্রই হোটেলে আগত গেষ্টদের জন্যই সংরক্ষিত। বিষয়টি নিয়ে হোটেল কর্মকর্তা, কর্মচারিদের মধ্যে নানামূখী গুঞ্জন ও রসাত্বক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ধামাচাপা দিতে সিবিএ নেতা ও তার সমর্থক সাঙ্গপাঙ্গরা উঠেপড়ে লেগেছে। সিসি ক্যামেরায় ওই নেতার হেলথ ক্লাবে যাওয়া আসার দৃশ্য ধারন হয়ে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হোটেলের সুনাম বজায় রাখতে ম্যানেজমেন্টের একটি অংশও ওই সিবিএ নেতার পক্ষ নিয়ে ম্যাসেজ কেলেংকারির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাঠে নেমেছে। এটি এখন হোটেলে রিতিমতো সর্ব্বোচ্চ আলোচিত বিষয়। হোটেলের একাধিক সূত্র বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে হোটেল মহাব্যবস্থাপকের বক্তব্য নিতে ফোন করলে এ প্রতিবেদককে জানানো হয়, তিনি দেশের বাইরে আছেন। হোটেল থেকে প্রেসে বা মিডিয়াতে অন্য কারোর কথা বলার নিয়ম না থাকায় সংশ্লিস্ট অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রাপ্ত সূত্রমতে, ওই সিবিএ নেতা সব সময়ে সব সরকারেই থাকেন। দল বদলের মাস্টার হিসাবে তিনি ইতমধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছেন। এখন যেমন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত, তেমনি বিএনপি আমলেও তিনি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন। বিএনপি সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ সরকার ক্ষমতায় এলে রাতারাতি তিনি আওয়ামী লীগার বনে যান। অভিযোগ আছে, এ নেতা আপাতত আওয়ামী লীগ করলেও তিনি কোন সময়ে ভুলেও জয়বাংলা কিংবা জয় বঙ্গবন্ধু বলেন না। তেমনি কোন জায়গায় ভুলেও জয়বাংলা কিংবা জয় বঙ্গবন্ধু শব্দটি লেখেন না।
জানা গেছে, স’ আদ্যক্ষরের এক মহিলা সহকর্মীকে তিনি হোটেলের অন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে হেলথ ক্লাবে নিয়ে এসেছেন। ওই মহিলাও এক সময়ে বিএনপি করতেন। সিবিএ নেতার ইচ্ছায় তিনিও আপাতত আওয়ামী লিগ করছেন। নেতাই তাকে নিয়েই নিয়মিত হেলথ ক্লাবে বসেন। অন্যান্য সহকর্মীদের রুম থেকে বের করে দিয়ে তিনি ইচ্ছামতো ওই মহিলাকে দিয়ে নিজের শরীর ম্যাসাজ করান। ম্যাসাজ করার পাশাপাশি অন্য অনৈতিক সম্পর্কও চলে। নেতা হবার সুবাদে কেউই ভয়ে কথা বলেন না। ওই মহিলার সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার অনৈতিক সম্পর্ক চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতা ধরে রাখার সিড়ি হিসাবে সিবিএ নেতা ওই মহিলাকে বিভিন্ন জায়গায় উপঢৌকন হিসাবেও পাঠান। বিষয়টি হোটেল অভ্যন্তরে ওপেন সিক্রেট। হোটেলে যারা সিবিএ রাজনীতির সাথে জড়িত তারাও তাদের নেতার এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিব্রত। আড়ালে আবডালে নেতার সমালোচনা করলেও চাকরি হারানোর ভয়ে কেউই ভয়ে কোনও কথা বলেন না। আলোচিত এ নেতার সাথে হোটেল ম্যানেজমেন্টের দহরম মহরম খুব ভাল, সিবিএ রাজনীতির সাথে জড়িত, এমন অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, নেতার এসব কর্মকান্ডে লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে আসে। নেতার আচরনে আমরা বিব্রত ও হতাশ। ক্ষুদ্ধ এসব কর্মচারিরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সিবিএ নেতা ও তার রক্ষিতা খ্যাত ওই মহিলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।