মোঃ তহিরুল ইসলাম :দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম আলোচিত মাদকস্পট দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর, আজিমপুর, দ:চাঁদপুর ও শান্তিপাড়া এলাকার মাদক কারবারীদের ঘুম খাওয়া দাওয়া একপ্রকার হারাম হওয়ার পথে। এমনিতেই গত ৬/৭ মাস যাবৎ জেলা পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশ ও মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার শুরু থেকেই এ এলাকার মাদক কারবারী বিক্রেতা অর্থলগ্নিকারী ও আশ্রয় প্রশ্রয় দাতারা কোনঠাসা হতে শুরু করে। শীর্ষ বেশকিছু মাদক কারবারী গ্রেফতার ও মাদকের একের পর এক চালান ধরা পড়ার কারণে এ মাদক সাম্রজ্যে পতন নামতে শুরু করে। সম্প্রতি দর্শনা তন্দ্রা কেন্দ্রর ইনচার্জ আই সি মিজান এর কারণে অনেক মাদক কারবারী এলাকা ছাড়া। বা কেউ আবার ভারতেও আত্মগোপন করেছেন অনেকেই। আর চুপিসারে বা খুব সংগোপনে কিছু কিছু মাদক কারবারী বিভিন্ন কৌশলে ও মুঠো ফোনের মাধ্যমে একান্ত বিশ্বস্ত কাস্টমারদের কাছে ৬/৭ পিস যাওবা বিক্রি করে এ সাম্রাজ্যের পতন বিলম্বিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন, সে তালিকাও এখন মিজান সাহেবের পকেটে। আর তাই দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যদের কয়েক ভাগে ভাগ করে এবং নিজেও মোটরসাইকেলে, করিমনে , আলম সাধু বা ভ্যানের মাধ্যমে সারা দিনরাত এলাকায় মূহুর্মূহু টহলের মাধ্যমে মাদকের পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদেরকে একেবারে কোনঠাসা করে ফেলেছেন।
এখন এলাকার মাদক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের একমাত্র চাওয়া পাওয়া হলো মিজান সাহেবের বদলি
খুব গোপনে দ:চাঁদপুর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর, আজিমপুর, শান্তি পাড়া, মোবারক পাড়া ,মাদক সিন্ডিকেট দফা মিটং করেছেন। এলাকার দ্বিতীয় সারির কতিপয় নেতার কাছে যেয়ে আর্জি ও জানিয়েছেন যাতে করে মাদক কারবারীদের সবথেকে বড় দুশমন মিজান সাহেবকে যেনো যে কোনো ভাবে অন্যত্র বদলির করা যায়
এখানে উল্লেখ থাকে যে, পুলিশ বিভাগে ছুটি যেখানে খুবই দুর্লভ, সেখানে নিজের প্রাপ্য ছুটি ভোগ না করেই একদিনের ঝটিকা সফরে কোনরকম নিজ বাড়ীতে একটু সময় দিয়ে ফিরে আসেন যথারীতি কঠোর ডিউটি শুরু করে দেন এই সিনসিয়ার অফিসার মিজান। আর এ কারণেই যদি দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের এলাকার সচেতন মহল এ অফিসারের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।