বাংলার খবর ডেস্ক : 
রাজশাহীতে কলেজ হোস্টেলে গলায় ফাঁস দিয়ে নাজমা খাতুন (২৫) নামে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
নাজমা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর টালিবাজার গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে হোস্টেলের ১১৫ নম্বর কক্ষ থেকে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
এ সময় ছাত্রীর কক্ষ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ও উদ্ধার করা হয়।
নাজমা রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতকোত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তবে স্নাতকোত্তর ভর্তির জন্য তিনি কলেজের হোস্টেলেই থাকতেন।
রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর জানান, হোস্টেলের ১১৫ নম্বর কক্ষে নাজমাসহ আরও দুইজন ছাত্রী থাকতেন। কয়েকদিন আগে তারা গ্রামের বাড়ি চলে যান। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাজমার কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে অন্য আবাসিক শিক্ষার্থীরা কক্ষের দরজা ধাক্কাধাক্কি করার এক পর্যায়ে দরজা খুলে যায়।
এ সময় তারা কক্ষের উঁচু জানালার সঙ্গে নাজমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ও ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, ওই ছাত্রীর কক্ষ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা হবে বলেও জানান ওসি।
