বাংলার খবর ডেস্ক : 
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড জোলাগাতি গ্রামে ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের সময় মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দেয়ারও হুমকি দিয়েছে পাঁচ বখাটে যুবক।
এদিকে শনিবার রাতে ওই ছাত্রী বাবা কাউখালী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
থানা পুলিশ ও জোলাগাতির গ্রাম পুলিশ আবুল বাশার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী শনিবার স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় সে মোল্লার হাট এলাকায় জালাল মোল্লার বাড়ির পৌঁছলে ওই গ্রামের ফারুক গাজীর ছেলে আসাদুল গাজী (১৯), জয়নালের ছেলে রাজু খান (২২), মৃত জাহাঙ্গীর আকনের ছেলে শৈকত আকন (২০), জালাল মোল্লার ছেলে উজ্জল মোল্লা (১৮) ও শহীদ হাওলাদারের ছেলে রাকিব খান (১৯) জোরপূর্বক তাকে ধরে নিয়ে জয়নাল মোল্লার বসত ঘরে আটক করে গণধর্ষণ করে।
ওই ঘরের মালিক জয়নাল মোল্লার পরিবারের কেউ তখন বাড়িতে ছিলেন না। ধর্ষকদের কবল থেকে ছাত্রীটি ছুটে বাড়ির দিকে দৌড়াতে থাকলে পথিমধ্যে তার মা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তার স্বজনরা বিষয়টি মোবাইফোনে কাউখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনকে জানালে তিনি সেখানে (ওসি তদন্ত) সরজীৎ কুমার বিশ্বাসকে পাঠিয়ে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ছেলেগুলো তাকে জোর করে স্থানীয় জালাল মোল্লার ঘরে নিয়ে যায়। তখন ওই ঘরে জালালের ছেলে উজ্জ্বল ছাড়া আর কেউ ছিল না। সেখানে তাকে রাজু ও আসাদুল ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে এ দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করা হয়। ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে এ দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় তারা। পরে আমি বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানাই।
এদিকে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ননী গোপাল রায় রোববার সকালে বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা শনিবার রাতেই সম্পন্ন হয়েছে বলে পুলিশ সুপার নিশ্চিত করেছেন।
কাউখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
