ঢাকা: বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কুফরিতত্ত্ব বাদ দিয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক সিলেবাস তৈরির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি সংগঠন।

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপে যদি পাঠ্য পুস্তকে বাইবেল থাকে, গীর্জায় যাওয়ার পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় তবে বাংলাদেশের মুসলমানদের পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম নেই কেন?

বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে কট্টর ইসলাম বিরোধী হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের লেখাকে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রদান করা হয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ১ম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা বইয়ে অন্তর্ভূক্ত গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধসমূহের মধ্যে মুসলমান লেখকদের তুলনায় বিধর্মী হিন্দু লেখকদের লেখাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

যেমন ১ম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত গল্প ও কবিতার সংখ্যা ১৯৩টি। এর মধ্যে হিন্দু ও নাস্তিকদের লেখার সংখ্যা হলো ১৩৭টি। যা সর্বনি¤œ শতকরা ৫৭ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৮২ ভাগ প্রাধান্য পেয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, কথিত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়ার পরও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইবেল হাতে নিয়ে শপথ গ্রহণ করে, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রধানরা চার্চে গিয়ে শপথ নেয়। অথচ ৯৮ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নাম দিয়ে ইসলাম ধর্ম বাদ দিয়ে ভিন্ন ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।

ইসলাম ধর্মের কথা বললে সেটাকে সাম্প্রদায়িকতা বলে অপবাদ দেয়া হয়। অথচ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলো নিজ ধর্মকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সুতরাং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলাম ধর্মের প্রাধান্য খর্ব করা যাবেনা। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে অন্য ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না বরং সর্বক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী ওলামা লীগ ও সমমনা ১৩টি সংগঠন আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শুরু করলে তাতে হামলা চালায় আওয়ামী ওলামা লীগের অপর একটি অংশ। এতে ১২ জন আহতও হন।

আজকের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি ও পীরজাদা পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল)।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ এর সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, শায়েখ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, লায়ন মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর ছিদ্দীক্ব, হাজী মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ রূপগঞ্জী, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ সিলিমপুরী, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি, হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, অধ্যাপক কাজী মাওলানা নোমান চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা মুহম্মদ খালেদ হাসান, হাফিজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল বারিক, মাও: ক্বারী আসাদুজ্জামান ছুন্নী জালালী আল কাদরী, মাওলানা মুহম্মদ জাকির, মাওলানা মুহম্মদ নূরুদ্দীন (মোহাদ্দেস), অধ্যক্ষ মাওলানা ক্বারী আবুল বাশার, মাওলানা রুহুল আমীন নূরী, আল্লামা খোরশেদ আলম রেজভী, মুহম্মদ আজিজুল হাসান ইমরান, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মুফতি মাও. মো. মনোয়ার হুসাইন আনোয়ার, আল্লামা মুহম্মদ হাবীবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ আব্দুল গফুর ব্যাপারী, মো: আব্দুল খালেক, ক্বারী মুহাম্মদ আখতার হুসাইন খান শরীয়তপুরী, শেখ আসাদুজ্জামান, মাওলানা মুহিউদ্দিন গালিবী, হাফেজ মাওলানা আব্দুল বারী, মুহম্মদ শুক্কুর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা দানু মিয়া, মাওলানা মুহম্মদ মোতাহার হুসাইন, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল হালীম সিরাজী, ক্বারী মাওলানা মুহম্মদ লোকমান হুসাইন, মো: হাবীব বোখারী, মাও. মুফতি ফেরদৌস, আল্লামা মাও. মো. শোয়েব শেখ, মাও. মো: মোখতারুজ্জামান আশরাফী, ক্বারী বেলাল হুসাইন, মাওলানা মুহম্মদ তাজুল ইসলাম বরনগরী, মাওঃ মো: আব্দুল কাদের, মাওঃ মোঃ আবু তাহের, মাওঃ মো: রফিকুল ইসলাম সিতাব, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার।

বিবৃতিদাতা সংগঠনগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা পরিষদ, কেন্দ্রীয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বাংলাদেশ, হাক্কানী আলেম সমাজ, জাতীয় ওলামা পরিষদ, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি, ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্নী ছাত্র ঐক্য, আমরা ঢাকা বাসী, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদসহ সমমনা ১৩টি দল।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।