বাংলার খবর ডেস্ক : 
ঢাকা : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন অধিকাংশ মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী।
রোববার ও সোমবার দু’দিন রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মতবিনিময় সভায় অধিকাংশ প্রার্থীই এ দাবি জানান।
প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত মতামত নিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
সোমবার মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার আইনজীবী আবদুস সালাম সিইসির উদ্দেশে বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেনো সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য আমরা সেনাবাহিনী মোতায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত, আতঙ্কিত। উপজেলা নির্বাচনের মতো যেন রাত তিনটার দিকে ব্যালট বাক্স ভর্তি না হয়ে যায়। আমরা চাই, আপনারা নিরপেক্ষতার মধ্যে থেকে নির্বাচনের আয়োজন করবেন।’
সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন বলেন, ‘নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন থাকবে। তারপরও আমি মনে করি, ‘সুন্দর নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করলে জনগণের জন্য আরও বেশি ভালো হবে।’
একই দাবি করেছেন আরেক প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট মনিটরিং ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
সভায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের সাত দিন আগে আমি সেনাবাহিনী মোতায়েন চাই।’
মতবিনিময় সভায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে আমি সন্তুষ্ট। আশা করি, আমরা এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান করতে পারবো।’
সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, আমি নির্বাচন কমিশন থেকে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছি। আমি ইসির কাছে জানতে চাই। নির্বাচন কমিশন আমাকে কি বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমারও আট-দশটা প্রার্থীর মতো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবি রয়েছে।’
এদিকে ঢাকা উত্তরের প্রার্থীরাও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছন।
রোববার সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান, উত্তরের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ঘরে এবং রাস্তায় থাকছে পারছে না। এ কারণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা দরকার।’
একই সভায় অপরপ্রার্থী মাহি বি. চৌধুরী বলেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েন করলে মানুষের সাহস বাড়ে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে। সেনাবাহিনী থাকলে নির্বাচনী পরিবেশও ভালো থাকে।’
প্রার্থীদের সেনাবাহিনীর মোতায়নের দাবির প্রেক্ষিতে দুই সিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ জানান, আগামী ১৯ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠক রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
