বাংলার খবর ডেস্ক : 
রাজশাহী : “ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বর্তমান সরকার জনগণের প্রতি আস্থা হারিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই জাতীয় সম্প্রচার নীতি প্রণয়ন করেছে। তারা এই নীতিমালার মাধ্যমে গণমাধ্যম তথা গণমানুষের কন্ঠরোধ করতে চায়। ফ্যাসিবাদী সরকার কখনো গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ফ্যাসিবাদের ধর্মই হচ্ছে ভিন্নমতকে দমন করা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) “জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন কমপ্লেক্সে কনফারেন্স রুমে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর কেবিএম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. পিয়াস করিম এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী।
ড. পিয়াস করিম বলেন, “জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা সরাসরি গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। এর মাধ্যমে গণমানুষের মত প্রকাশের অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। যার ফলে নারায়নগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জড়িত তা আপনি বলতে বা প্রকাশ করতে পারবেন না। র্যা ব-পুলিশের গুম-খুন-নির্যাতনের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারবেন না। বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে এজন্য আপনি সীমান্তে তাদের হত্যা-নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশ করতে পারবেন না। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কিছু বলা যাবে না। মূলত আধিপত্যবাদের সকল কর্মকাণ্ডকে মেনে নিতে হবে।
তিনি এই নীতিমালা বাতিল এবং গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
রুহুল আমীন গাজী বলেন, “বর্তমান সরকার বারবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। কিন্তু তারা নিজেরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। সংসদ জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই এ নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার ও খুনি সরকারের এই সম্প্রচার নীতিমালা বাংলার জণগণ কখনো মেনে নেবে না।
রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরোমের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় “জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর কেএএম শাহাদাত হোসেন মন্ডল, রাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মু. আজহার আলী, প্রফেসর আফরাউজ্জামান খান চৌধুরী, প্রফেসর মোস্তফা কামাল আকন্দ, প্রফেসর মো. নিজাম উদ্দিন, প্রফেসর মো. এনামুল হক, প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর ফজলুল হক, প্রফেসর এফ নজরুল ইসলাম, প্রফেসর দিলারা বেগম, ড. মাহফুজুর রহমান আকন্দ, ড. ইফতেখারুল ইসলাম মাসউদসহ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফেরামের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
