বাংলার খবর ডেস্ক : 
সিউল: মধ্যপ্রাচ্যের চারদিনের সফর শেষে দেশে ফিরেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিস্টার মার্ক লিপার্টকে দেখতে আচমকা হাসপাতালে ছুটে গেছেন দক্ষিণ-কোরিয়র প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়ন হে( চধৎশ এবঁহ-ঐুব)।
রাজধানী সিউলে ফিরেই আজ সোমবার প্রেসিডেন্ট পার্ক হাসপাতালে ছুটে যান তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহত মার্কিন রাষ্ট্রদূত দ্রুতই সেরে উঠছেন বলে আলাপকালে প্রেসিডেন্টকে অভহিত করেন।
গত সপ্তাহে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার সময় দুই-কোরিয়া একত্রিকরণ আন্দোলনের কর্মী কিম কি জুং কর্তৃক ছুরিকাঘাতে আহত হন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিস্টার মার্ক লিপার্ট।
গত ৫ই মার্চ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঈয়নসে-ইউনিভার্সিটিতে অবস্থিত সেভারেঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই তাকে আবুদাবিতে অবস্থানকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়ন ফোন করে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই অনাকাঙ্কখিত ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশও করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার সুত্রে জানা যায়, আক্রান্ত হবার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ফোনে মিস্টার মার্ক এবং তাঁর স্ত্রী রবিয়ানের সাথে কথা বলে সান্তনা দেন।
পার্ক ২০০৬ সালে সিউলে একটি নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় এক দুস্কৃতিকারি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর ২০০৬ সালে একই হাসপাতালে তার মুখে এক ডজনেরও বেশি সেলাই নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, হামলাকারি কিম কে জুং দুই-কোরিয়া একত্রিকরণ আন্দোলনের একজনকর্মী এবং সে মনে করে মার্কিন আধিপত্যবাদের কারণেই একত্রিকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
কিম কে জুং ২০১০ সালে জাপানি রাষ্ট্রদূতকেও পাথর ছুড়ে মারার দায়ে গ্রেফতার হন এবং ২ বছর জেল খাটেন। তাকে বর্তমানে সিউলের একটি কারাগারে বন্দি করে রাখা হইয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত ফৌজদারি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, এই হামলার কারনে তাঁর সর্বোচ্ছ ১০ বছর সাজা হতে পারে। মিস্টার মার্ক লিপার্ট হচ্ছেন কোরিয়াতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন কূটনীতিক।
গতবছরের অক্টোবরে সিউলে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর থেকেই তিনি কোরিয়ান প্রচার মাধ্যমে বিশেষ গুরুত্ব পেতে শুরু করেন।
