বাংলার খবর২৪.কম: টেলিভিশন ও বেতারের জন্য প্রণীত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি বৃহস্পতিবার।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় আবেদনটি শুনানির জন্য কার্য তালিকায় এসেছে। এর আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ এ রিট করেন।
রিটে বলা হয়েছে, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা সংবিধানের ৭, ১১, ২৬, ২৭, ৩১, ৩৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। পাশাপাশি এই নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করেছে।
রিটে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল জারিরও আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই নীতিমালার কার্যক্রম পরিচালনার ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়েছে।
এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তথ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৭ আগস্ট টেলিভিশন ও বেতারের জন্য জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয়। গেজেটে বলা হয়, অবিলম্বে এ সম্প্রচার নীতিমালা কার্যকর হবে।
এর আগে গত ৪ আগস্ট টেলিভিশন ও বেতারের জন্য এই নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।
এ নীতিমালার আওতায় সম্প্রচার আইন তৈরি এবং একটি স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে এ নীতিমালাকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
তারা মনে করেন, ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালার কারণে মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব হতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সম্প্রচার নীতিমালার বিরোধীতা করে বলেছে, এই নীতিমালা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করবে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির দাবি নাকচ করে বলা হয়েছে, বিকাশমান সম্প্রচার মাধ্যমকে গতিশীল করার জন্য এই নীতিমালা করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে সংকুচিত করার জন্য নীতিমালা করা হয়নি।